প্রবা
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:০৫ পিএম
অগ্নিঝুঁকি মুক্ত হোক সব স্থাপনা
ঢাকার বেইলি রোডে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনাটি মর্মান্তিক। একই ভবনে এভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এত মানুষের করুণ মৃত্যু আমাদের বিচলিত করে। অগ্নিদুর্ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। যা ছিল তা অপ্রতুল। এমনকি ইতঃপূর্বে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিসও দেওয়ার কথা জানা যায়। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও ভবন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়নি। এভাবে নোটিস অমান্য করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে অসংখ্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া কোনোভাবেই দায়িত্বশীলতার পর্যায়ে পড়ে না। জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। কিন্তু তা শুধু নোটিস পাঠানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কথা নয়। এত এত দুর্ঘটনার পরও কি আমাদের টনক নড়বে না?
অগ্নিকাণ্ড অন্যান্য দেশেও ঘটে। কিন্তু সেখানে মানুষ অধিক সচেতন বলে
প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। যেকোনো রেস্তোরাঁ কিংবা কারখানায় অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা
জোরদার করতে পারলে দুর্ঘটনা কমানো যায়। একই সঙ্গে ভবন ব্যবহারকারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ
দিতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকেও নিয়মিত পরিদর্শন ও তদারকি করতে
হবে। এভাবে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থেকে রেহাই পেতে পারি।
সংগীত কুমার
কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
সমঅধিকার নিশ্চিত হোক
নারীর অবদান অবমূল্যায়ন, অবজ্ঞা, অস্বীকার করে কোনো জাতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি; ভবিষ্যতেও পারবে না। বরং নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধার মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ ও মুক্তি। সমাজে নারীর সঠিক স্থান ও ভূমিকা চিহ্নিত করা এবং নারীর সম্মান ও মর্যাদার প্রকৃত উৎসের সন্ধান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীর আধুনিক ও প্রাচীন সব সমস্যার সমাধানে কার্যকর, পরীক্ষিত, যুক্তিগ্রাহ্য ও বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা দেওয়া সময়ের দাবি।
মো. হাসিম আলী
শিক্ষক, ঢাকা
বই হোক জাতি গঠনের উপাদান
লেখালেখি একটা সাধনা। বছরের পর বছর লিখে যেতে হয়। পাঠক ও সমাজের প্রতি দায়বোধ, নিজের আত্মার সঙ্গে বোঝাপড়া থেকে একজন কবি ও লেখক লিখে যান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই লেখার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠতে চাইছেন; যা ইতিবাচক হিসেবে দেখার সুযোগ কম। মানুষ বই পড়ে আনন্দ পেতে, কিছু শিখতে, জানতে। কিন্তু আমরা যদি প্রস্তুতিহীন পর্যায়েই শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ইচ্ছায় লিখতে শুরু করি, তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। একজন কবি বা লেখকের লক্ষ্য হওয়া উচিত লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের মন জয়। অনেকেই লিখছেন বলে আমারও লিখতে হবে, এ মানসিকতাও শুভ নয়। কবি বা লেখকের মাধ্যমে পাঠক ভাষা সম্পর্কে সচেতন হয়। তাদের লেখা দেখে বাক্যগঠনরীতি যেমন শেখে, তেমন বানান সম্পর্কেও সচেতন হয়। আবার লেখকের মাধ্যমেই মানুষ দেশবিদেশের নানান বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে। কিন্তু আমরা নিজেরাই যদি লিখতে গিয়ে ভুল বাক্য, ভুল বানান ও ভুল তথ্যের মাধ্যমে পাঠককে বিভ্রান্ত করি, তা লেখক হিসেবেও আমাদের অদক্ষতা। এতে পাঠকও ভুল বাক্য, ভুল বানানের ফাঁদে পড়বে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার আগ্রহ থেকে, বই প্রকাশের মোহ থেকে আমাদের সরে আসা উচিত। তেমনিভাবে প্রকাশকদেরও উচিত টাকার বিনিময়ে মানহীন বই ছাপানো থেকে বিরত থাকা এবং রুচিশীল বই প্রকাশের মাধ্যমে সচেতন পাঠক তৈরি ও জাতি গঠনে অবদান রাখা।
আহমেদ শরীফ
গণমাধ্যমকর্মী, ঢাকা